Tonmoy Evan
Computer BIOS 2021
Computer BIOS 2021

Computer BIOS 2021

BIOS – কম্পিউটারের বস – Computer BIOS 2021


ফেসবুকের post চিনেন কিন্তু, কম্পিউটারের POST চিনেন কি? BIOS এর আলোচনায় আজকে এরকম অনেক কিছুই জানবেন।
BIOS: আপনার কম্পিউটার চালু করার পর কম্পিউটারের control চলে যায় BIOS এর কাছে। BIOS এর মধ্যে কম্পিউটারের অতি গুরুত্বপূর্ণ settings এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম থাকে, যেগুলো অতি বেগুনী রশ্মি দিয়ে মুছে ফেলা সম্ভব। এই জন্যেই BIOS যেই ROM এর মধ্যে থাকে- সেটাকে EPROM বলা হয়।
এখানে-
E হচ্ছে erasable এর সংক্ষিপ্ত রূপ। যার অর্থ- মুছে ফেলার যোগ্য।
P হচ্ছে programmable এর সংক্ষিপ্ত রূপ। যার অর্থ- আপনি বিশেষ পদ্ধতিতে BIOS এর প্রোগ্রাম পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে, এর ফলে BIOS এর update ডাউনলোড করা যেমন সম্ভব হয়; তেমনিভাবে হ্যাকাররাও BIOS এর মধ্যে ক্ষতিকর code লিখে দিতে সক্ষম হয়।

Computer BIOS 2021

POST পরীক্ষা
আপনার কম্পিউটার চালু করলে BIOS শুরুতেই একটি POST পরীক্ষা চালাবে। POST হচ্ছে power-on self-test এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এই POST পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করা হয়- কম্পিউটার চালু (boot) -করার জন্য জরুরি হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ঠিকঠাক আছে কিনা? যদি সব ঠিক থাকে, তাহলে boot loader দিয়ে অপারেটিং সিস্টেম যেমনঃ Windows, Linux ইত্যাদি load করা হয়। তখন আপনি দেখতে পারবেন- আপনার কম্পিউটার চালু হচ্ছে।

BIOS আপনার কম্পিউটারের প্রোগ্রাম ও হার্ডওয়্যারের মধ্যকার ইনপুট/আউটপুট ব্যবস্থাপনার কাজ করে।

Computer BIOS 2021

জরুরি প্রশ্ন
অনেকে প্রশ্ন করবেন- BIOS যেভাবে সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যারের মধ্যকার সেতু বা, ব্রিজ হিসেবে কাজ করছে, অপারেটিং সিস্টেমের kernel -ও তো একইভাবে সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যারের মধ্যকার সেতু হিসেবে কাজ করে! তাহলে এদের কাজের পার্থক্য কি?
ভালো প্রশ্ন। এটা বোঝার জন্য একটি সূত্র মনে রাখবেন-
BIOS আগে, kernel পরে।

Computer BIOS 2021

মূলত, BIOS -ই kernel কে load করে। আর, পার্থক্য হিসেবে বলতে গেলে- BIOS আপনার কম্পিউটারের সকল হার্ডওয়্যার সম্বন্ধে খুঁটিনাটি জানে আর, kernel সেই তথ্য নিয়েই ব্যবস্থাপনার কাজ করে। আপনার কম্পিউটারে যদি ২ জন user থাকে এবং ২ জন-ই যদি একসাথে একটি text ফাইল লেখালেখি করে save করতে যান, তখন BIOS হয়তো হার্ড-ডিস্কের যেখানে save করতে হবে- সেটার খুঁটিনাটি জানে কিন্তু, ২ জন user কে একসাথে ব্যবস্থাপনা করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে মূল ব্যবস্থাপনার কাজ করবে kernel। আবার, অনেক সময় BIOS নিজে থেকেই কিছু কাজের দায়িত্ব অন্যকে দিয়ে থাকে। যেমনঃ POST পরীক্ষার সময় BIOS এর video সংক্রান্ত কাজ অন্য ডিভাইসকে দেওয়া হয়।

BIOS হচ্ছে কম্পিউটারের বস। কম্পিউটারের চলন্ত অবস্থাতেই হার্ডওয়্যার সংযুক্ত করলে সেটার তথ্য-ও BIOS এর জানা থাকে। সেইসাথে, কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম কিংবা, kernel নষ্ট হয়ে গেলেও BIOS এর মাধ্যমেই আপনার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে access করতে পারবেন। সেজন্য কম্পিউটার চালু করার পর DELETE বাটন প্রেস করতে হবে (কিংবা, কম্পিউটারের কোম্পানি ভেদে আলাদা key প্রেস করতে হতে পারে)। যদিও, অনেক সময় BIOS এর মধ্যেও error আসতে পারে। তবে, সেগুলো সাধারণত BIOS আপডেট করার সময় ভুল হওয়ার কারনে কিংবা, অন্য কারণে হয়ে থাকে। যেমনঃ কেউ যদি ২/১ টি ভিডিও দেখেই BIOS হ্যাক করতে গিয়ে কোথাও ভুল করে ফেলে, তাহলেই BIOS আর কাজ করবে না।

যাই হোক, অনলাইনে BIOS সম্বন্ধে পুরনো আর্টিকেল পড়লে দেখা যায়- BIOS এর সিকিউরিটি তুলনামূলক কম। যদিও, বর্তমানে কম্পিউটারগুলোতে BIOS এর পরিবর্তে UEFI ব্যাবহার করা হচ্ছে। কিন্তু, তারপরও BIOS কম্পিউটার ব্যাবহারকারীর সংখ্যা অনেক। ঠিক যেমন এন্ড্রয়েডের ভার্সন 10 আসার পরেও আগের ভার্সনগুলো অনেক মানুষই ব্যাবহার করছে।

উপরের লেখাগুলো বুঝে থাকলে BIOS সম্বন্ধে উঁচু লেভেলের আর্টিকেল পড়েও বুঝতে পারবেন, আশা করি। সবাই সাইবার জগতে উন্নত হয়ে গড়ে উঠুন, নিরাপদ থাকুন। ধন্যবাদ।

আরো পড়ুন – the best laptop in India at 2021- May

Writer –Md. Abdullah Al Mamun

ইনফরমেশন সোর্স–

সাইবার সোসাইটি

Tonmoy Evan

2 comments

Follow Me

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.